শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭
এশিয়া উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের নেপথ্যকথা
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭শ শতাব্দীর শেষার্ধে আধ্যাত্মিক সাধক ও ধর্ম প্রচারক সৈয়দ আহাম্মদ কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বর্তমান কোটশোলাকিয়া এলাকার এক মুসলিম পরিবার ভুইয়া বাড়িতে এসে রাজাবাড়ীয়া যা বর্তমানে শোলাকিয়া সাহেব বাড়ি ও তার পার্শবতী এলাকা হিসাবে পরিচিত সেখানে পৌছাতে লোকজনের সহযোগীতা কামনা করেন।কিন্তু উক্ত স্থানটি ছিল গভীর অরণ্যে ঢাকা জনমানবহীন ভয়ানক জীবজন্তুর আবাসস্থল। তাই সে বাড়ির লোকজন তাঁকে সেখানে যাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করলেও তাঁকে কিছুতেই ফিরানো যাচ্ছিল না, বাধ্য হয়ে পাড়াপ্রতিবেশীদের ডেকে এনে দা,বঠি,বল্লম ইত্যাদি আত্ম রামূলক প্রচলিত অস্ত্র নিয়ে সকলে মিলে সৈয়দ আহাম্মদকে সঙ্গে করে রাজাবাড়িয়ায় পৌঁছে ঝুপঝার কেটে কেটে ক্রমাগত অরণ্যের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকেন। হঠাৎ দেখাগেল গোলাপী পাঁচ পাপড়ী যুক্ত একপ্রকারের ফুলগাছ দ্বারা বেষ্টিত একখানা কবর যা সম্পূর্ণভাবে সুরতি অবস্থায় আছে। সৈয়দ আহাম্মদ লোকদের জানালেন এখানেই তিনি অবস্থান করবেন। তাঁর সাথীগন এই গভীর অরণ্যে হিংস্র জন্তু জানুয়ারের আক্রমনের আশঙ্কা করছিলেন তাই তারা তাদের সাথীকে সেখানে রেখে যেতে চাননি। সৈয়দ আহাম্মদকে কোনভাবেই তাদের সমতে আনতে না পেরে অবশেষে কবরখানার পাশেই বাঁশ ও গাছের পাতা দ্বারা একটি ঘর তৈরি করেদেন এবং ছুট্ট একটি মুচিতে তৈল দিয়ে বাতি জ্বালাবার ব্যবস্থা করে দেন। পরে সাথীগন অনিচ্ছা স্েত্বও সেখানে সৈয়দ আহাম্মদকে একা রেখে চলে আসেন। ঐরাতেই শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি অনেক গাছপালা ভেঙ্গে যায়,শেকরসহ উপরে যায়। ঝড়ের পর উদ্বিঘœ এলাকাবাসী জঙ্গলে প্রবেশ করে দেখতে পেলেন সৈয়দ আহাম্মদ ও তার কুড়েঘর সম্পূর্ণ অত অবস্থায় আছে তিনি জিকিরে মশগুল। এমন দৃশ্য দেখে আগন্তুক সকলে তার শিষ্যত্ব প্রার্থন্ াকরলে তিনি তাদের গ্রহণ করেন। তার কারামত ও আধ্যাত্মিক মতার কথা চতুর দিকে ক্রমশই ছড়িয়ে পরতে থাকে আর দলে দলে লোকজন তার মুরিদ হতে থাকে। ঐ সময় জঙ্গলবাড়ীর জমিদার ও হয়বত নগর জমিদার সৈয়দ আহাম্মদ তার কাজে নানাভাবে সহযোগীতা করেছেন। তাদের সহযোগীতায় তিনি সেখানে ভূসম্পত্তির মালিক হন। উক্ত সম্পত্তির মালিক হবার পর তিনি নিজ হুজরার নিকটে একটি বাড়ি তৈরি করেন। বর্তমানে শোলাকিয়া সাহেব বাড়ি জামে মসজিদটি সে সময় য়ৈদ আহাম্মদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনিই এতদাঞ্চলে সর্বপ্রথম জুমার নামাজের জামাতের ব্যবস্থা করে ইমামতি করেন। ১৮২৮ খৃস্টাব্দে সৈয়দ আহাম্মদ জঙ্গলবাড়ীর জমিদার ও হয়বতনগর জমিদার এর সহযোগীতায় ও তাঁদের উপস্থিতিতে তার নিজের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে ঈদের জামাতের মাঠ প্রতিষ্ঠা করে তিনিই সর্বপ্রথম ঈদের জামাতের ঈমামতি করেন সে দিনই তিনি ঈদের জামাতের মুনাজাতে বলেছিলেন ‘হে খোদা এই ঈদগাহ মাঠে যেন ভবিষ্যতে সোয়ালাখ মুসুল্লির সমাগম হয়। এই সোয়ালাখ শব্দ অনুস্মরণে অনেকের মতে বর্তমানে ঈদগাহ মাঠ ও তার পার্শ্ববর্তি এলাকার নামা করন করা হয়েছে। দিন দিন এই মাঠের মুসল্লিদের সমাগম বাড়তে থাকে মাঠের জায়গা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাই হয়বত নগরের জমিদার উক্ত মাঠ সংলগ্ন তার নিজস্ব সম্পত্তি ঈদগাহ মাঠের জন্য ওয়াকফ করে দনে। এভাবে ব্যক্তিগত দান,
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন