সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭
নয়নের আলো
নয়নের আলো
..........................
সাদেক আহেমদ
আমাকে ঠিক আগেরমতো
মনে পড়ে কি না জানি না
তুমি যেকথা বলো
চোখ মেল যা দেখি
তাও আজ বিশ্বাস করতে
বড় কষ্ট হয়।
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে
আমি যখন অঙ্গার
তোমার পথেচলতে চলতে
যখন আমি ক্লান্ত
তখন একটা দীর্ঘশ্বাসের অনলে পুড়েিয়ে
করে দিলে সবকিছু বিরানভূমি।
তুমি তো বলেছিলে সেদিন
মরুর বেলাভূমিতে সাজাবে উদ্যান,
পাথরের বুকে ফোআটাবে ফুল।
কেন তবে আজ দূরাকাশের তারা হয়ে
আকাশের বুকে জোনাকীর মতো জ্বলতে চাও?
নয়নের আলো যদি নিভে যায়
দূরাকাশের তারার আলোর মূল্য কি আর?
..........................
সাদেক আহেমদ
আমাকে ঠিক আগেরমতো
মনে পড়ে কি না জানি না
তুমি যেকথা বলো
চোখ মেল যা দেখি
তাও আজ বিশ্বাস করতে
বড় কষ্ট হয়।
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে
আমি যখন অঙ্গার
তোমার পথেচলতে চলতে
যখন আমি ক্লান্ত
তখন একটা দীর্ঘশ্বাসের অনলে পুড়েিয়ে
করে দিলে সবকিছু বিরানভূমি।
তুমি তো বলেছিলে সেদিন
মরুর বেলাভূমিতে সাজাবে উদ্যান,
পাথরের বুকে ফোআটাবে ফুল।
কেন তবে আজ দূরাকাশের তারা হয়ে
আকাশের বুকে জোনাকীর মতো জ্বলতে চাও?
নয়নের আলো যদি নিভে যায়
দূরাকাশের তারার আলোর মূল্য কি আর?
রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭
বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭
Flame ofpain
Flame ofpain
.....................................
Sadek Ahmed
That is where you are burnt
you also burns on me
You can tell me?
I can not say it.
The light that you live in
I am also in the light
Understand -
How am I ?
Happy days dreams
You see, I also see
Understand you -
When the tears are soaked.
I am the traveler of the blind street
Standing on the stairs stood
So much so in pain and suffering
Fire itself.
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭
শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭
শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭
It may rains
It may rains
...................
Sadek Ahmed
It will rains today
Rain falls torentially in the ocean
It will rain today ....
The moon remain full acceptance
There is no light anywhere
All of them are covered in black..
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭
Fool number one
Fool number one
Sadek Ahmed
............................
Light-thin cottage floor
Do not smell the look
Hanglap's boys are all
By the bondage of the girl.
February 14 Terraque
Everywhere
Did not go to college
But where did you go?
Time to spend dating
Sitting in the tree
Two people lose the imagination
Punching gossip smile
In the words they say
Oh my life
At the end of understanding the chicks
Boca Nambouran
মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭
The mirage
The mirage
.........................
Sadek Ahmed
The people around me
One of them is tears of silence
Either or of them-
I find happiness in my suffering.
Forgot to understand
Only day by day
The mistake is that the burden
What I see colorful
It's really gray
Mirage on the black pepper
.........................
Sadek Ahmed
The people around me
One of them is tears of silence
Either or of them-
I find happiness in my suffering.
Forgot to understand
Only day by day
The mistake is that the burden
What I see colorful
It's really gray
Mirage on the black pepper
রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭
Breath
Breath
Sadek Ahmed
I'm just like before
I do not know what to remember
What you say
I see your writing-
It is a big problem to believe in today.
Believe in the sun of faith
When I'm going to continue your way to the cemetery
When i'm tired
If a sigh of fire is burned, then all the burying land.
You said that day-
you will decorate The garden in the desert belt
The flowers thrive on the chest
But why are they today in the desert?
Do you want to burn like firefly?
If the lights of eyes are discarded
What is the price of the star of the distance?
শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭
Tears
Tears
Sadek Ahmed
What you gave to love I know it's the best gift
What do you say in the traditions?
I'm equal to him?
I have kept it in mind temple of mind.
Sometimes the water of the water drains in the flood,
yet I keep it inside the chest.
Will you forget me ?
Try not to try anymore
The air will come and listen in the ears
You are mine only for me.
The memories of the past
You will stand by the way
You will also see that day
In the water of the eyes of the salt water.
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭
Alone
Alone
Sadek Ahmed
I am not a man of alone
Yet when I am alone
I am walking alone
I talk alone
I am from all over
I'm alone with me
I dreamed alone
Write stories about you
Happiness of memory of happiness
That's what I see alone.
I am alone on my way
In my opinion I am alone
I just wanted you
The most expensive for me.
Bribery
Bribery
Sadek Ahmed
..................................
In the mind of the people
grows anger and Depression,
they Will not forgive
the culprit.
They take money as bribe
Run Expensive car,
With the eyes of the law enforcer
escape and go abroad.
such a condition of corruption
Do not run in this country
People will protest
Will not remain in sleeping.
Due to irregularities and politics
corruption has spread in the country
The culprit has to catch up
The end is to be done
মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭
Humanity
Humanity
Sadake Ahmed
We were the people
That nation is for the country
Renders of human rights
He has repeatedly died.
When the enemy came forward
Throwing machine guns
When grenade and caman sound
Exotic conditions
Love for country and people
Have been bold enough
Protested, built resistance
Defeats the enemy
The sky flown in this country
The victory of the red rose flag
Today, in the land of this country
Raised children are mistreated,
University students and housewives
Are also are mistreated
some guises are murdered outside the house
Women - man and babes are also victim
Where is humanity, where country lover?
People should love to people.
poem
Fasting
……………………..
Sadek Ahmed
kalersamachar.gq
If the the believer understand
the meaningof Ramadan
the believers should
search for God’s Satisfaction.
passing the pleasure of luxury life
at the end of eleven months
man get lesson to have Patience
in this holy month.
A man can Understand clearly
fasting of the day,
There is starvation that is
how much of his suffering.
free from sin man can lead to cleansing
in this holy month man get forgiveness.
the man who is fasting
Do not lie in lies and wickedness
he never be furious
In the words and job of the another people.
Small and short faults will give discount
If someone gets hurt in the words
say I am fasting.
Fasting is keeping taking halal food
Otherwise, the pain will only be all lies.
If love does not wake up and
does not feel frightened of God
what is the Benefit of fasting and avoid drinking.
the man who is Fasting
he gets happiness in self-purity
the great creator himself is reward for him.
Farmers
Farmers
Sadek Ahmed
Speak Bengali
Write in Bangla language
Green country in the countryside
I was surprised to see.
Plow taking in shoulders
Farmer goes to the field,
Sing in happiness with his heart
Cut the ripe rice.
In the open sunny sunshine
Stomach ache,
Those who have so much trouble
They do not get the price.
Starving or taking half meal
Cut their lives,
There is always All these people
Are in trouble.
when suffer from the disease
they do not get Drugs
they ware Torn clothes,
Works hard labor
Morning to evening noon.
They do not want to have meat-fish
Getting something
they are happy with that
They do not want more.
সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব
সাদেক আহমেদ
দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহমেদ উল্লাহ। সদস্য সচিব মনোনীত হন কবি ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো.
আবুল কাশেম। ২০১১ সনে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি শুক্র এবং শনিবার উদযাপন করা হয় ৭ম
‘কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ২০১১’। প্রথমবারের মতো দুইদিনব্যাপী বর্ণঢ্য আয়োজনে এক অনন্য অনুষ্ঠান ।সুযোগ্য নেতৃত্বে সপ্তম ছড়া উৎসব অনুষ্ঠানে অনেক ব্যতিক্রমী সংযোজন বিয়োজন
দেখা গিয়েছিল। ছড়া উৎসবের প্রথম দিনের বর্ণাঢ্য রেলি সর্বশ্রেণীর মানুষের অংশ গ্রহণে কিশোগঞ্জ শহরে সাড়া পড়ে যায়। কনকনে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দুপুরে প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কিশোগঞ্জের সকল উপজেলার কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকার, লেখক, সাংবাদিক,
সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যামোদী আবালবৃদ্ধবণিতা সকলেই স্বতঃস্ফুর্তভাবে র্যালীতে অংশ গ্রহণ করে। র্যালির অগ্রভাগে ছিল কিশোরগঞ্জের জনপ্রিয় লাঠিখেলা। র্যালিটি সমবায় কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু হয়ে কাচারি বাজার মোড় দিয়ে আখড়া বাজার হয়ে গৌরাঙ্গ বাজার প্রদক্ষিণ করে উৎসবের ভেনু সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে এসে সমাপ্ত হয়। র্যালিশেষে বেলুন ও পতাকা উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন ছড়াজগতের অগ্রদূত সুকুমার বড়ৃয়া। প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছড়া উৎসবের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মীর রেজাউল আলম, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, সিআইপি বাদল রহমান, কবি আহমদ আজিজ ও কবি এ এফ এম আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব কবি, প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের পর সরকার আবদুল ওয়াহাব’র নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয়ক্তযমুদ্ধি ভিত্তিক নাটক ‘খ্যাপা পাগলার প্যাচাল’ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ছেড়ে দর্শক শ্রোতা যেতে না চাইলে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘পলাশী থেকে ধানম-ি’ প্রদর্শন করা হয়। দ্বিতীয়
দিনের প্রথম অধিবেশনে প্রচ- শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেও যথাসময়ে নির্ধারিত প্রথম পর্বের আলোচনা সভা শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও দৈনিক ইত্তেফাক’র সম্পাদক রাহাত খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবলিক অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কে লজে’র অধ্যক্ষ প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন। অতিথি ছিলেন কবি আবদুল হান্নান ও বহুমাত্রিক লেখক অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম। অতিথি আলোচক ছিলেন কবি ও কথা সাহিত্যিক কাজল শাহনেওয়াজ, কথা সাহিত্যিক ছড়াকার নাসের মাহমুদ, কবি শামসুল ফয়েজ ও শামীম সিদ্দিকী। পরবর্তী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান নূর এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেনবিশিষ্ট রাজনীতিক এডভোকেট এম এ আফজল, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার বাধন ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার লুনা। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আশরাফ ও কবি আবুল এহসান। অতিথি আলোচক হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন কবি পারভেজ চৌধুরী, কবি শামীম সিদ্দিকী ও ছড়াকার আনজির লিটন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর কবি আবুল এহসানের সভাপতিত্বে স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠের আসর পরিচালনা করেন ছড়াকার বিজন কান্তি বণিক। পুরস্কার বিতরণের পর অতিথি কবি ও ছড়াকারদের ছড়া ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আশরাফ। সর্বশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্যের তালে ছন্দে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষকে বিমোহিত করে। এ পর্বে মানস করের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘গরু’। কনকনে শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন বৈরী আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে এত সুন্দর একটি সফল অনুষ্ঠান এর ফলে সারা কিশোরগঞ্জ শহরে সাজ সাজব রপড়ে যায়। রাহাত খান তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সকল দিক থেকে আরও
সমৃদ্ধশালী দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আসাদুজ্জামান নূর কিশোরগঞ্জের এই ছড়া উৎসবকে একটি সুন্দর, সাবলীল ও উপভোগ্য বলে অভিমত প্রকাশ করেন। ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য ও সাড়াজাগানোর মতো। ছড়া উৎসবের আয়োজনের জন্য সেবারই প্রথম ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে সিরাজুল হক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ‘সিরাজুল হক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং প্রতিবছর উৎসব পরিচালনা পর্ষদের অন্তত দুইজনকে উল্লেখিত পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। উপস্থিত সকল অতিথিগণ আগামীতে ছড়া উৎসব আরও পরিবর্তন, গতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ছড়া উৎসবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
কিশোরগঞ্জ ছড়াউৎসব ও লোকজমেলা সাফল্যের পথে চলতে চলতে ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২দিনব্যাপী-৮ম কিশোরগঞ্জ ছড়া উুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুু-।
উৎসব উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমা-ার মো. আসাদুল্লাহ।- প্রথম দিন প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন ছড়া উুৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক আহমেদুল্লাহ।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলাপ্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান । বিশেষ অতিথিছিলেন পুলিুশ সুপার মীর রেজা উল আলম ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরেআলম সিদ্দিকী , উপপরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কিশোরগঞ্জ মো আজহার আলী মিঞা,সদর উজেলা
পরেষদ চেয়ারম্যান ডা.মো.আব্দুল হাই,সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুুুুুুুুন্নাহারলুুুুনা,ুুুুুুুুুুসি আই পি বাদল রহমান,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি শেখ ফরিদ আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসচিব অধ্যাপাক আবুুুুুল কাসেম্যায়। স›ধঅনুষ্টিত হয় মনোজ্ঞ
সাংস্কৃতিক অনুুুুুুষ্ঠা২৮জানুয়ারি। শনিবার দ্বিতিয় দিন প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেগে ওঠো নরসুন্দার পরিচালক কবি আব্দুল হান্নান।প্রধান অতিথিছিলেন অধ্যাপক মীর মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন হৃদয়চারি কবি হুমায়ুন আহমেদ কবির ভ’ঞা। দ্বিতিয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কিশোর জেলা শাখার সভাপতি আবু খালেদ পাঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম মো. ফজলুল হক।বিশেষ অতিিিছলেন ছড়াকার মহিউদ্দিন আকবর,ডা. দ¦ীন মোহাম্মদ, কবি জাকির আবু জাফর, অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক,কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চোধুরী, মো. এনামুল হক।আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও সাঈদ আহমেদ।তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক প্রাীেণশ কুমার চৌধুরী।প্রধান অতিিিছলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক তারানা হালিম।বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহমুদ কামাল,অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল,কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম ভ’ঞা,এরশাদ উদ্দিন মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব এরশাদ উদ্দিন। আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী,অধ্যাধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম,ছড়া কার স্বপন ধর। চর্তু পর্বে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোহাম্মদ আশারাফ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলি যাকের,বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. আনিছুজ্জামান ,তপংকর চক্রবর্তী
,আশরাফুল মান্নান,চিত্রশিল্পী ্এম এ কাইয়ুম ও আলহাজ মো. আব্দুলুদ্দুস।ক আলোচনা করেন কাজী আবুল এহসান অপু। সবশেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জেগে ওঠো নরসুন্দা ও কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের সামনে এগিয়ে চলার পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। অনেক ঋজু পথ মারিয়ে অনেক বাধার বৃন্দাচল পেরিয়ে আটটি ছড়া উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করার পর নবম ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ গঠন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক শতাব্দীর
কণ্ঠ এর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ কে নবম বারের মতো ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক এর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কবি ছড়াকার প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম কে তৃতীয় বারের মতো পর্ষদের সদস্য সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। একই সভায় আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এ উৎসবকে দুই দিনের পরিবর্তে তিনদিনব্যাপী এবং এর সাথে লোকজ মেলার আয়োজন করা। ফলে ছড়া উৎসবের কাজের ব্যাপ্তি ও জনমানুষের অংশ গ্রহণ আরও বৃদ্ধি পায়।
১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ২০১৩, শুক্র, শনি ও রবিবার নবম ছড়া উৎসব উদযাপনেরআয়োজন করা হয়। তিনদিনব্যাপী ৯ম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব শুরুর প্রথম দিনে সকালবেলা এক বর্ণাঢ্য
রেলি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে এসে সমবেত হয়। বেলুনউড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন ছড়াকার রফিকুল হক দাদু ভাই ও প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুররহমান। ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ছড়াকার রফিকুল হক দাদু ভাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ আফজল এডভোকোট। তিনটি
পর্বে আলোচনা ও ছড়া পাঠে অংশ নেন ছড়াকার মাহমুদ উল্লাহ, ছড়াকার আহমেদ জসীম, ছড়াকার মহিউদ্দিন আকবর, জাতীয় ছড়া পরিষদের সভাপতি এম আর মনজু, কবিসংসদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম কনক, ছড়াকার বকুল হায়দার, ছড়াকার স্বাধীন শুভ নীল, লোকজ ছড়া ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক আদিত্য রুপু, ছড়াকার স্বপন
ধর প্রমুখ। সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে বৃন্তছড়া আবৃত্তি করে আবৃত্তি পরিষদের শিশুরা। সন্ধ্যায় জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাবের পরিচালনায় দর্শক মাতানো
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল গান, নৃত্য,নাটক ও বাউল গান।
সাফল্যের পথে হাটতে হাটতে প্রতিবারের মতো সকল আয়োজন সম্পন্ন করে তিনদিনব্যাপী দশম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে সাড়ম্বরে শুরু হয়। ছড়া উৎসব ও মেলা উদ্বোধন করেন, বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক রফিকুল হক দাদু ভাই। এ উপলক্ষে শহরে ছড়াকার ও সংস্কৃতি কর্মীদের একটি শোভাযাত্রা বের হয়। জেগে ওঠো নরসুন্দার ব্যবস্থাপনায় ও কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ আয়োজিত এ ছড়া উৎসবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবীণ ও নবীন ছড়াকারগণ অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক এস এম আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি ও ছড়াকার আসলাম সানী, ছড়াকার স্বপন ধর, ছড়াকার ও সাংবাদিক আঞ্জির
লিটন, ছড়াকার এম আর মঞ্জু, ছড়াকার রিফাত নিগার শাপলা প্রমুখ। শহরের খড়মপট্টি এলাকার সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ ছড়া উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন, ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব কবি ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। ৭ মার্চ ১০ম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের ২য় দিন সকালে আলোচনা সভা, বিকালে আলোচনা ও সম্মাননা ও আমন্ত্রিত কবি ও ছড়াকারদের লেখা পাঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আশরাফ। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক শাহ আজিজুল হক এডভোকেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের অধ্যক্ষ ছড়াকার তপংকর চক্রবর্তী, এস ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, কিশোরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক। বিকালের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আরজ আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কবি আতাউর রহমান কানন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দেলোয়ার হোসেন, লায়ন আতিউজ্জামান, অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম। ৮ মার্চ শনিবার ১০ম কিশোরগঞ্জ
ছড়া উৎসবের ৩য় এবং শেষ দিনে মুক্ত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। প্রাবন্ধিক ও চিত্রশিল্পী এম এ কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ আফজল এডভোকেট, রাজেন্দ্র আশালতা ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সমরেশ রায় এডভোকেট। আলোচনায় অংশ নেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক, দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ, সদস্য সচিব কবি ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে আলী ইমামকে সুকুমার রায় শিশু সাহিত্য পদক ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গীতি নৃত্যনাট্য ‘কমলা সুন্দরী’ পরিবেশিত হয়।
৩দিনব্যাপী ১১তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজমেলা ২০১৫ গত ৫মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্টিত হয়। এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বিপুল সংখ্যক লেখক ,কবি,সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী বর্ণীল আয়োজনে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণসড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। উৎসব কমিটির আহবায়ক দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্টিত হয়। বিশিষ্ট ছড়াকার ওশিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদেও হাট এর প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল হক দাদু ভাই অনুূূূূষ্ঠানূূূূূূূূূূূূূূূূূূূূূূউদ্বোধনকরেনস্বাগতবক্তব্যরাখেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আবুল কাসেম। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আবেদ হোসেন , বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত ছড়াকার আসলাম সানি,কলকাতা থেকে আগত লেখক দ্বীপ মুখোপাধ্যায় ,আনসারুল হক ,ড.শাহাদত ,এক্সিম
ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ দিদারুল আরেফিন ও বুলবুল মহালনবিশ প্রমুখ। ২য়দিন ৬মার্চ শুক্্রবার ২০১৫ সকাল ১০টা নির্ধারিত আলোচনা সভা ছড়া উৎসব পরিচালনা
পর্ষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছড়ালেখক আনজীর লিটন। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভপতি শাহ আজিজুল হক এডভোকেট ও কবি আবুল এহসান অপু। আলোচনা শেষে স্থানীয় ছড়া লেখক,কব্ িসাহিত্যিকগনের প্রকাশিত ১৫টি বইয়ের মোড়ক উমে¥াচন করা হয়। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধউপস্থাপনা করেন কবি আমিনুল ইসলাম সেলিম। দ্বিতীয় পর্বে বিকালে আলোচনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক
প্রাণেশ কুমার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম.এ. আফজল এডভোকেট কবি ও লেখক অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক সমরেশ রায় এডভোকেট প্রমুখ। এ.কে এম মোজাম্মেল হক গোলাপ ও মোঃ রওশন আলী রুশোকে সাহিত্যে সুকুমার রায় সাহিত্যপদক ও সম্মাননা প্রধান করা হয়। তৃতীয় পর্বে আমন্ত্্িরত, স্থানীয় কবি ও ছড়া লেখকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে কবি ও ছড়ালেখক আবদুস ছাত্তার ভূঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও লেখক হুমায়ুন আহমেদ কবির ভূঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও ছড়ালেখক মেরাজ রাহীম ও আহমেদ জসিম। সর্বশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা ৭টায় সংগীতানুষ্ঠান ও রাত ৮টায় মিথিলা অডিও ভিশনের পরিবেশনায় বিচিত্রানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ৮মার্চ ২০১৫ তৃতীয় দিন ১ম পর্বে সভাপতিত্ব করেন লেখক ও গবেষক মু.আ.লতিফ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও ছড়ালেখক ফারুক নওয়াজ। বিষেশ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল মহাাবিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ সিদ্দিক উল্লাহ,ছড়াকার আহমেদ জসিম, কবি মানস বিশ্বাস,
বিশিষ্ট সমাজসেবক এড.ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, আসলাম সানী, দ্বীপ মুখপাধ্যায় , আনসার-উল-হক,সাহাবুদ্দিন আহমেদ,শফিক সিংহী প্রমুখ। তৃতীয় পর্বে বিশিষ্ট চিএশিল্পী ও লেখক এম.এ কাইয়ম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আলি ইমাম । বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার লুনা, খুঁটি সম্পাদক এস.এম জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠ্নে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি সম্পাদক বিজন কান্তি বনিক। পরে অনুষ্ঠানে রফিকুল হক দাদু ভাই, আসলাম সানী, দ্বীপ মুখপাধ্যায় ও আনসার-উল-হককে সম্মাননা প্রধান করা হয়। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট বিতরন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। সংস্কৃতিক পর্বে মানস করের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন একতা নাট্যগোষ্ঠী।
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব একযুগ পূর্তি সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে। আগামীতে এ উৎসবটি আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপান্তরিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ছড়া উৎসবে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের ছড়াকার-কবি-সাহিত্যিকবৃন্দ। বর্র্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩র্মাচ২০১৬ বৃহস্পতিবার শুরু হয় তিন দিনব্যাপী যুগপূর্তি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজ মেলা । শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে সকাল সাড়ে দশটায় প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করে ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাই। এর পূর্বে একটি র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে সমবায় ভবনে এসে উদ্বোধনী সমাবেশে মিলিত হয়। এরপর বৃন্দ ছড়া আবৃত্তি পরিবেশন করে সুবর্ণ কনরথে শিশুশিল্পীবৃন্দ।উদ্বোধনী আলোচনা সভা সকাল সাড়ে দশটায় ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের
আহ্বায়ক ও দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে এসময় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার আসলাম সানী, সুজন বড়য়া,– ড. রাসবিহারী দত্ত, আনসার উল হক, ড. সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, ইভা চক্রবর্তী, শিলা বিশ্বাস, ড. অরুময় বন্দোপাধ্যায় ও বাচিকশিল্পী স্বাতী বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম।দ্বিতীয় পর্বে নির্ধারিত আলোচনানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবু খালেদ পাঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. সিদ্দিক উল্লাহ্। প্রধান আলোচক ছিলেন ছড়াকার স্বপন ধর। বিশেষ অতিথি হিসেবে এ পর্বে উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার আনজীর লিটন, হাসনাত আমজাদ, এম. আর. মঞ্জু, মিলন সব্যসাচী, মহিবুর রহিম প্রমুখ।তৃতীয় পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি কবি-ছড়াকার-লেখকদের স্বরচিত লেখা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মীর মো. রেজাউল করিম। প্রধান অতিথি হিসেবে এসময় উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার আসলাম সানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. রাসবিহারী দত্ত ও আনসার উল হক।
তৃতীয় পর্বের শেষে ম. ম. জুয়েল, বাসিরুল আমিন ও হুমায়ুন কবিরের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ‘মৃত্তিকা ও মানুষ’ শীর্ষক আবৃত্তি সন্ধ্যা পরিবেশন করে চন্দ্রাবর্তী আবৃত্তি পরিষদ। এরপর মিজানুর রহমান মিজানের পরিচালনায় ছিলো সুররং একাডেমির পরিবেশিত সঙ্গীতানুষ্ঠান। সবশেষে ছিলো মিথিলা অডিও ভিশনের শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা।যুগপূর্তি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিলো ৪মার্চ২০১৬ শুক্রবার। শহরের খরমপট্টিতে সমবায় কমিউনিটি
সেন্টারে উৎসব উপলক্ষে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কবি ও ছড়াকারদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ‘সাহিত্যের সুবাতাস বয়ে যাক ধরায়, সাম্যের বাণী শুনি ছন্দ ও ছড়ায়’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী যুগপূর্তি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজ মেলা। প্রাণের এ উৎসবে যোগ দিতে সুদূর কলকাতথেকে ছুটে এসেছেন সাতজন ছড়াকার কবি ও সাহিত্যিক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথিতযশা ছড়াকাররাও এতে অংশ নিয়েছেন। সকলের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এ উৎসব। দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে শিশু-কিশোরদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও সংগঠক আসলাম সানী, এসভি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ কবির ও কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক। পরে স্থানীয় ছড়ালেখক ও কবি সাহিত্যিকগণের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক প্রাণেশ কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান অ্যাডভোকেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম.এ. আফজল, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক,
সাহিত্যিক আজিজুল হক এরশাদ, লুৎফুল হক প্রমুখ। আলোচনা শেষে যুগপূর্তি ছড়া উৎসব ও লোকজ মেলায় ১২ জনকে সুকুমার রায় সাহিত্য পদক ও সম্মাননা প্রদান করাহয়। যাদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সুধেন্দু বিশ্বাস, সংগীতে মৃণাল কান্তি দত্ত, সমাজসেবায় আবু খালেদ পাঠান, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী বিজন কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা.
সাহেব আলী পাঠান, সাহিত্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোহাম্মদ আশরাফ, শিক্ষায় অধ্যক্ষ
গোলসান আরা, ক্রীড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাশির উদ্দিন ফারুকী, সমাজসেবায় অ্যাডভোকেট সমরেশ রায়, সাহিত্যিক মতিউর রহমান ও ছড়াকার শাহজাহান কবীর।
সম্মাননা শেষে পদকপ্রাপ্তরা নিজ নিজ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। সন্ধ্যায় সংগীতানুষ্ঠান, গীতিনাট্য সুনাই মাধব ও মিথিলা অডিও ভিশনের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।৫মার্চ২০১৬ শনিবার রাতে জেলা সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে চিত্রশিল্পী এম.এ. কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহীত উল আলম। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রফিকুল হক দাদুভাই, ভারতের কবি ও ছড়াকার ড. রাসবিহারী দত্ত,
আনসার উল হক, ড. সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, ইভা চক্রবর্তী, ড. অরুময় বন্দোপাধ্যায়, স্বাতী বন্দোপাধ্যায় ও শৈলেন্দ্র হালদার। বক্তারা সকলেই কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব জাতীয় ছড়া উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। কারণ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথিতযশা ছড়াকাররাও এতে অংশ নিয়েছেন। সকলের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেছে এ ছড়া উৎসব। এখানে দ’ুদেশের কবি-সাহিত্যিক ও ছড়াকারদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী উৎসবে ছড়াপাঠ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দিয়ে সাজানোছিল। এছাড়াও উৎসবে আসা ভারতীয় অতিথিদেরকে সম্মানসনা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহীত উল আলম। ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক আহমেদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব আবুল কাশেম জানান, লোকজ মেলায় কিশোরগঞ্জের ছড়া সাহিত্যের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা শেষে কবি কফিল আহমেদের পরিবেশনায়ছিলো সংগীতানুষ্ঠান। সবশেষে সাংস্কৃতিকনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি টানা হয় তনি দিন ব্যাপী উৎসবের।‘ছড়ায় ছড়ায় গড়বো দেশ/সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ’ এই সোগনে ৩ দিনব্যাপী ১৩তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজমেলা শুরু হয় ৩ র্মাচ বৃহস্পতিবার ২০১৭ ইং তারিখে। সকালে এক বণাঢ্য র্যালি কিশোরগঞ্জ শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে সুসজ্জিত মঞ্চে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রফিকুল হক দাদু ভাই। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন। উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক আহবায়ক আহমেদ উলাহ। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন এডিসি(সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামিল,বিশিষ্ট ছড়াকার আসলাম সানী,বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজীর লিটন,শিশু সাহিত্যিক মিলন সব্যসাচী ,আরিফ নজরুল,প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী, আবুখালেদ পাঠান,ছড়াকার ফারুক নওয়াজ,আহমেদ জসিম,স্বপনধর,কবি মুহিবুর রহিম অধ্য গোলসান আরা বেগম, অধ্যাপক আবুল কাশেম,চিত্রশল্পী এম এ কাইয়ুম,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইকবালসহ অন্যরা।বিকালে স্থানীয় লেখকদের প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করা হয়। সন্ধায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।৪মার্চ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় সভপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্য প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক রফিকুল হক দাদু ভাই।বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ আফজল,ছড়াকার আসলাম সানী,কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নুরুল হক,কোহিনুর আফজল। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন অধ্য এ,কে,এম মোজাম্মেল হক গোলাপ। প্রধান অতিথি ছিলেন বানিমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি মোঃ আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউট এর নির্ববাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক। বক্তৃতা করেন ছড়াকার রহিম শাহ,শ,ম শামছুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর জাহাঙ্গির আলম,এডভোকেট দোলন ভৌমিক। সন্ধায় সাদেক আহমেদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক প্রাণেশ কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক রাশেদ রউফ,কবি মানস বিশ্বাস। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৪মার্চ শনিবার তৃতীয় দিন প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চিত্রশিল্পী এম এ কাইয়ুম। প্রধান অতিথি ছিলেন রফিকুল হক দাদু ভাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ আজিজুল হক, শাহানারা রশিদ ঝরণা ও আশরাফুল মান্নান। বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী ও কবি মীর মুহাম্মদ রেজাউল করিম,ইকবাল বাবুল ও কবি জয়দুল হোসেন। আলোচনা শেষে প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চেীধুরী,আহমেদ উলাহ ও জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নাকে সুকুমার রায় সাহিত্ব পদক প্রদান করা হয়।
প্রথম ছড়া উৎসব থেকে ১২ তম ছড়া উৎসব পর্যন্ত যে সকল গুণিজজনদের সুকুমার রায় সাহিত্য পদক ও সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন কবি মহিউদ্দিন চৌধুরী, কবি শফিক আলম মেহেদী, গীতিকার মোহাম্মদ ফিরোজ, ছড়াকার আবিদ আনোয়ার, সাহিত্য গবেষক সৈয়দ শওকত আলী, কবি আব্দুল হান্নান, কবি আশুতোষ ভৌমিক, ছড়াকার সিরাজুল ফারিদ, সাহিত্য গবেষক মোহাম্মদ বাকের, কথা সহিত্যিক জুনাইদুল হক, নাট্যকার গোলাম শফিক, কবি মনজুরূ রহমান, ছড়াকার দেলোয়ার বিন রাশিদ, কবি ফারুক আহমেদ, কবি ও প্রাবন্ধিক বেগম রাজিয়া হোসাইন, কবি অজামিল বণিক, ছড়াকার নবী হোসেন, ছড়াকার সুবীর বসাক, কবি
অ্যাডভোকেট জেসমিন আরা রোজি, কবি এ. এফ. আকরাম হোসেন, কবি ম. মাহফুজুর রহমান, চিত্রশিল্পী ও প্রাবন্ধিক এম এ কাইয়ুম, মো. আতিকুল্লাহ ঢালি, প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, মীর মো. রেজাউল করিম, মু. আ. লতিফ, মো. আব্দুছ ছাত্তার ভূঞা,মো. আবুল কাশেম, শাহ আজিজুল হক, মেরাজ রাহীম, হুমায়ুন আহমেদ কবীর ভূঞা, বিজন কান্তি বণিক,এ কে এম মোজাম্মেল হক গোলাপ,মো. রওশন আলী রুমো প্রমুখ।
পূর্ব থেকে যে অঞ্চলের মানুষের ধমনীতে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমেরক্ত রপ্রবাহমান তাদেরকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করতে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রথম ছড়া উৎসব থেকে দশম ছড়া উৎসব পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কবি, ছড়াকার, গীতিকার, শিল্পী, প্রাবন্ধিক নাট্যকার, উপন্যাসিক, সংস্কৃতি কর্মী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকসহ গুণীজন ও সাহিত্যামোদীদের আগমন ও
অংশ গ্রহণে প্রাণিত হয়েছে কিশোরগঞ্জবাসী। ক্রমাগত উৎসবের ব্যাপকতা ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমী গুণীজনদের আগমন ও অংশগ্রহণে উৎসবের সৌন্দর্য ও সাফল্য প্রতিবারই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবারই ছড়া উৎসব উপলক্ষ্যে এ অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়া লিখন ও ছড়া পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও তাদেরকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদানের ফলে তাদের মেধাবিকাশ ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে কিশোরগঞ্জের ছড়া উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। উৎসবে আগত গুণীজনদের জ্ঞানগর্ব আলোচনা ও তাদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের স্থানীয় কবি সাহিত্যিকদের কবিতা ও ছড়া পাঠ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা- এক উদ্দীপনাময় মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাঙালী জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য যখন
ক্রমশই বিলুপ্তির পথে, নগর সভ্যতার এই সময়ে আজকের প্রজন্ম যখন স্বদেশীয় কৃষ্টি কালচার ভুলে পশ্চিমা কৃষ্টি কালচারে গাঁ ভাসিয়ে ক্রমাগতই মুড়ি, মোয়া, খইয়ের কথা ভুলে বার্গার, পিজা, স্যা-োইচ খেতে অভ্যস্ত এ ক্রান্তিকালে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবে লোকজ মেলার
আয়োজন লোকজ ঐতিহ্য চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নানান ধরণের মিষ্টান্ন, শিশুদের খেলার রকমারি জিনিস, বিভিন্ন তৈজসপত্র, হস্ত ও কারুশিল্পের পণ্যসহ নানাধরনের ভোগ্যপণ্য ও খাদ্যপন্যের দোকান বসে থাকে মেলা চত্বর ও তার আশপাশে। প্রতিবারই স্থানীয় লেখকদের বই
এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ উৎসবে। এসকল বই বিপণন ও প্রদর্শনের জন্য বই বিক্রির
ষ্টলের ব্যবস্থা থাকে। সর্বোপরি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজমেলা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের উৎসবে রূপ নিয়েছে।
সাদেক আহমেদ
ষোড়শ শতাব্দীর
সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কিশোরগঞ্জ। যুগ যুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষের
সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা বিষয়ে অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। বাংলা সাহিত্যের
প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী, শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়, সুকুমার
রায়, চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন, কবি দ্বীজ বংশী দাস, কেদারনাথ মজুমদার,
আবদুর রহিম মুন্সি, মুন্সি আজিমন,উদ্দিঐতিহাসিক নীহার রঞ্জন রায়,
বাউলশিল্পী অকিল ঠাকুর, সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস, কানাই নাথ, কবিয়াল
রামু, কবিয়াল ঈশান নাথ, কবি আবিদ আজাদ,লোকজ ঐতিহ্য সংগ্রাহক মোহাম্মদ
সাইদুর এসকল গুণীজন কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ সাহিত্য,
নাটক, শিশু সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, পুঁথি সাহিত্য ও চিত্রকলায় যে
গৌরবোজ্জল ভূমিকা রেখে গেছেন তা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অনবদ্য দলিল
হিসাবে অক্ষয় হয়ে থাকবে। এসকল কীর্তিমাণ পুরুষের পদাঙ্ক অনুসরণের মধ্য দিয়ে
কিশোরগঞ্জের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে যারা নিবেদিত প্রাণ তাদের
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০০৫ সালে প্রথম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব অনুষ্ঠিত
হয়। ‘কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ২০০৫’ এই শিরোনামে আয়োজিত ছড়া উৎসবের যে পরিচালনা
পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল তার আহ্বায়ক ছিলেন দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ পত্রিকার
সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ। সদস্য সচিব ছিলেন ছড়াকার জাহাঙ্গীর আলম জাহান।এ
উৎসবের শুরু যতটা কঠিন
ছিল সামনে এগিয়ে যাবার পথ ছিলো আরও অনেক বেশি
কঠিন তবুও থেমে যায়নি চলার পথে। কুসুমাস্তীর্ণ বন্ধুর পথে হাটতে হাটতে
ছয়টি ছড়া উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়।প্রম থেকে ষষ্ঠ ছড়া উৎসব পর্যন্ত প্রতিটি
ছড়া উৎসব উদযাপিত হতো একদিনব্যাপী। পরবর্তিতে কবি-সাহিত্যিক,ছড়াকার,
সমাজকর্মী,স্থানিয় রাজনীতিবিদ,শিক্ষাবিদ ও সুধীজনদের পরামর্শে
সর্বসম্মতিক্রমে সপ্তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক মনোনীত
হনদৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহমেদ উল্লাহ। সদস্য সচিব মনোনীত হন কবি ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো.
আবুল কাশেম। ২০১১ সনে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি শুক্র এবং শনিবার উদযাপন করা হয় ৭ম
‘কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ২০১১’। প্রথমবারের মতো দুইদিনব্যাপী বর্ণঢ্য আয়োজনে এক অনন্য অনুষ্ঠান ।সুযোগ্য নেতৃত্বে সপ্তম ছড়া উৎসব অনুষ্ঠানে অনেক ব্যতিক্রমী সংযোজন বিয়োজন
দেখা গিয়েছিল। ছড়া উৎসবের প্রথম দিনের বর্ণাঢ্য রেলি সর্বশ্রেণীর মানুষের অংশ গ্রহণে কিশোগঞ্জ শহরে সাড়া পড়ে যায়। কনকনে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দুপুরে প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কিশোগঞ্জের সকল উপজেলার কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকার, লেখক, সাংবাদিক,
সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যামোদী আবালবৃদ্ধবণিতা সকলেই স্বতঃস্ফুর্তভাবে র্যালীতে অংশ গ্রহণ করে। র্যালির অগ্রভাগে ছিল কিশোরগঞ্জের জনপ্রিয় লাঠিখেলা। র্যালিটি সমবায় কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু হয়ে কাচারি বাজার মোড় দিয়ে আখড়া বাজার হয়ে গৌরাঙ্গ বাজার প্রদক্ষিণ করে উৎসবের ভেনু সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে এসে সমাপ্ত হয়। র্যালিশেষে বেলুন ও পতাকা উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন ছড়াজগতের অগ্রদূত সুকুমার বড়ৃয়া। প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছড়া উৎসবের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মীর রেজাউল আলম, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, সিআইপি বাদল রহমান, কবি আহমদ আজিজ ও কবি এ এফ এম আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব কবি, প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের পর সরকার আবদুল ওয়াহাব’র নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয়ক্তযমুদ্ধি ভিত্তিক নাটক ‘খ্যাপা পাগলার প্যাচাল’ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ছেড়ে দর্শক শ্রোতা যেতে না চাইলে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘পলাশী থেকে ধানম-ি’ প্রদর্শন করা হয়। দ্বিতীয়
দিনের প্রথম অধিবেশনে প্রচ- শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেও যথাসময়ে নির্ধারিত প্রথম পর্বের আলোচনা সভা শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও দৈনিক ইত্তেফাক’র সম্পাদক রাহাত খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবলিক অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কে লজে’র অধ্যক্ষ প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন। অতিথি ছিলেন কবি আবদুল হান্নান ও বহুমাত্রিক লেখক অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম। অতিথি আলোচক ছিলেন কবি ও কথা সাহিত্যিক কাজল শাহনেওয়াজ, কথা সাহিত্যিক ছড়াকার নাসের মাহমুদ, কবি শামসুল ফয়েজ ও শামীম সিদ্দিকী। পরবর্তী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান নূর এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেনবিশিষ্ট রাজনীতিক এডভোকেট এম এ আফজল, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার বাধন ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার লুনা। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আশরাফ ও কবি আবুল এহসান। অতিথি আলোচক হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন কবি পারভেজ চৌধুরী, কবি শামীম সিদ্দিকী ও ছড়াকার আনজির লিটন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর কবি আবুল এহসানের সভাপতিত্বে স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠের আসর পরিচালনা করেন ছড়াকার বিজন কান্তি বণিক। পুরস্কার বিতরণের পর অতিথি কবি ও ছড়াকারদের ছড়া ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আশরাফ। সর্বশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্যের তালে ছন্দে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষকে বিমোহিত করে। এ পর্বে মানস করের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘গরু’। কনকনে শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন বৈরী আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে এত সুন্দর একটি সফল অনুষ্ঠান এর ফলে সারা কিশোরগঞ্জ শহরে সাজ সাজব রপড়ে যায়। রাহাত খান তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সকল দিক থেকে আরও
সমৃদ্ধশালী দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আসাদুজ্জামান নূর কিশোরগঞ্জের এই ছড়া উৎসবকে একটি সুন্দর, সাবলীল ও উপভোগ্য বলে অভিমত প্রকাশ করেন। ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য ও সাড়াজাগানোর মতো। ছড়া উৎসবের আয়োজনের জন্য সেবারই প্রথম ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে সিরাজুল হক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ‘সিরাজুল হক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং প্রতিবছর উৎসব পরিচালনা পর্ষদের অন্তত দুইজনকে উল্লেখিত পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। উপস্থিত সকল অতিথিগণ আগামীতে ছড়া উৎসব আরও পরিবর্তন, গতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ছড়া উৎসবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
কিশোরগঞ্জ ছড়াউৎসব ও লোকজমেলা সাফল্যের পথে চলতে চলতে ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২দিনব্যাপী-৮ম কিশোরগঞ্জ ছড়া উুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুু-।
উৎসব উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমা-ার মো. আসাদুল্লাহ।- প্রথম দিন প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন ছড়া উুৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক আহমেদুল্লাহ।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলাপ্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান । বিশেষ অতিথিছিলেন পুলিুশ সুপার মীর রেজা উল আলম ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরেআলম সিদ্দিকী , উপপরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কিশোরগঞ্জ মো আজহার আলী মিঞা,সদর উজেলা
পরেষদ চেয়ারম্যান ডা.মো.আব্দুল হাই,সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুুুুুুুুন্নাহারলুুুুনা,ুুুুুুুুুুসি আই পি বাদল রহমান,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি শেখ ফরিদ আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসচিব অধ্যাপাক আবুুুুুল কাসেম্যায়। স›ধঅনুষ্টিত হয় মনোজ্ঞ
সাংস্কৃতিক অনুুুুুুষ্ঠা২৮জানুয়ারি। শনিবার দ্বিতিয় দিন প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেগে ওঠো নরসুন্দার পরিচালক কবি আব্দুল হান্নান।প্রধান অতিথিছিলেন অধ্যাপক মীর মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন হৃদয়চারি কবি হুমায়ুন আহমেদ কবির ভ’ঞা। দ্বিতিয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কিশোর জেলা শাখার সভাপতি আবু খালেদ পাঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম মো. ফজলুল হক।বিশেষ অতিিিছলেন ছড়াকার মহিউদ্দিন আকবর,ডা. দ¦ীন মোহাম্মদ, কবি জাকির আবু জাফর, অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক,কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চোধুরী, মো. এনামুল হক।আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও সাঈদ আহমেদ।তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক প্রাীেণশ কুমার চৌধুরী।প্রধান অতিিিছলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক তারানা হালিম।বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহমুদ কামাল,অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল,কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম ভ’ঞা,এরশাদ উদ্দিন মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব এরশাদ উদ্দিন। আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী,অধ্যাধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম,ছড়া কার স্বপন ধর। চর্তু পর্বে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোহাম্মদ আশারাফ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলি যাকের,বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. আনিছুজ্জামান ,তপংকর চক্রবর্তী
,আশরাফুল মান্নান,চিত্রশিল্পী ্এম এ কাইয়ুম ও আলহাজ মো. আব্দুলুদ্দুস।ক আলোচনা করেন কাজী আবুল এহসান অপু। সবশেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জেগে ওঠো নরসুন্দা ও কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের সামনে এগিয়ে চলার পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। অনেক ঋজু পথ মারিয়ে অনেক বাধার বৃন্দাচল পেরিয়ে আটটি ছড়া উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করার পর নবম ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ গঠন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক শতাব্দীর
কণ্ঠ এর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ কে নবম বারের মতো ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক এর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কবি ছড়াকার প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম কে তৃতীয় বারের মতো পর্ষদের সদস্য সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। একই সভায় আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এ উৎসবকে দুই দিনের পরিবর্তে তিনদিনব্যাপী এবং এর সাথে লোকজ মেলার আয়োজন করা। ফলে ছড়া উৎসবের কাজের ব্যাপ্তি ও জনমানুষের অংশ গ্রহণ আরও বৃদ্ধি পায়।
১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ২০১৩, শুক্র, শনি ও রবিবার নবম ছড়া উৎসব উদযাপনেরআয়োজন করা হয়। তিনদিনব্যাপী ৯ম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব শুরুর প্রথম দিনে সকালবেলা এক বর্ণাঢ্য
রেলি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে এসে সমবেত হয়। বেলুনউড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন ছড়াকার রফিকুল হক দাদু ভাই ও প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুররহমান। ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ছড়াকার রফিকুল হক দাদু ভাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ আফজল এডভোকোট। তিনটি
পর্বে আলোচনা ও ছড়া পাঠে অংশ নেন ছড়াকার মাহমুদ উল্লাহ, ছড়াকার আহমেদ জসীম, ছড়াকার মহিউদ্দিন আকবর, জাতীয় ছড়া পরিষদের সভাপতি এম আর মনজু, কবিসংসদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম কনক, ছড়াকার বকুল হায়দার, ছড়াকার স্বাধীন শুভ নীল, লোকজ ছড়া ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক আদিত্য রুপু, ছড়াকার স্বপন
ধর প্রমুখ। সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে বৃন্তছড়া আবৃত্তি করে আবৃত্তি পরিষদের শিশুরা। সন্ধ্যায় জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাবের পরিচালনায় দর্শক মাতানো
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল গান, নৃত্য,নাটক ও বাউল গান।
সাফল্যের পথে হাটতে হাটতে প্রতিবারের মতো সকল আয়োজন সম্পন্ন করে তিনদিনব্যাপী দশম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে সাড়ম্বরে শুরু হয়। ছড়া উৎসব ও মেলা উদ্বোধন করেন, বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক রফিকুল হক দাদু ভাই। এ উপলক্ষে শহরে ছড়াকার ও সংস্কৃতি কর্মীদের একটি শোভাযাত্রা বের হয়। জেগে ওঠো নরসুন্দার ব্যবস্থাপনায় ও কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ আয়োজিত এ ছড়া উৎসবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবীণ ও নবীন ছড়াকারগণ অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক এস এম আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি ও ছড়াকার আসলাম সানী, ছড়াকার স্বপন ধর, ছড়াকার ও সাংবাদিক আঞ্জির
লিটন, ছড়াকার এম আর মঞ্জু, ছড়াকার রিফাত নিগার শাপলা প্রমুখ। শহরের খড়মপট্টি এলাকার সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ ছড়া উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন, ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব কবি ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। ৭ মার্চ ১০ম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের ২য় দিন সকালে আলোচনা সভা, বিকালে আলোচনা ও সম্মাননা ও আমন্ত্রিত কবি ও ছড়াকারদের লেখা পাঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আশরাফ। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক শাহ আজিজুল হক এডভোকেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের অধ্যক্ষ ছড়াকার তপংকর চক্রবর্তী, এস ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, কিশোরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক। বিকালের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আরজ আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কবি আতাউর রহমান কানন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দেলোয়ার হোসেন, লায়ন আতিউজ্জামান, অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম। ৮ মার্চ শনিবার ১০ম কিশোরগঞ্জ
ছড়া উৎসবের ৩য় এবং শেষ দিনে মুক্ত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। প্রাবন্ধিক ও চিত্রশিল্পী এম এ কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ আফজল এডভোকেট, রাজেন্দ্র আশালতা ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সমরেশ রায় এডভোকেট। আলোচনায় অংশ নেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক, দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ, সদস্য সচিব কবি ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে আলী ইমামকে সুকুমার রায় শিশু সাহিত্য পদক ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গীতি নৃত্যনাট্য ‘কমলা সুন্দরী’ পরিবেশিত হয়।
৩দিনব্যাপী ১১তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজমেলা ২০১৫ গত ৫মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্টিত হয়। এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বিপুল সংখ্যক লেখক ,কবি,সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী বর্ণীল আয়োজনে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণসড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। উৎসব কমিটির আহবায়ক দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্টিত হয়। বিশিষ্ট ছড়াকার ওশিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদেও হাট এর প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল হক দাদু ভাই অনুূূূূষ্ঠানূূূূূূূূূূূূূূূূূূূূূূউদ্বোধনকরেনস্বাগতবক্তব্যরাখেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আবুল কাসেম। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আবেদ হোসেন , বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত ছড়াকার আসলাম সানি,কলকাতা থেকে আগত লেখক দ্বীপ মুখোপাধ্যায় ,আনসারুল হক ,ড.শাহাদত ,এক্সিম
ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ দিদারুল আরেফিন ও বুলবুল মহালনবিশ প্রমুখ। ২য়দিন ৬মার্চ শুক্্রবার ২০১৫ সকাল ১০টা নির্ধারিত আলোচনা সভা ছড়া উৎসব পরিচালনা
পর্ষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছড়ালেখক আনজীর লিটন। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভপতি শাহ আজিজুল হক এডভোকেট ও কবি আবুল এহসান অপু। আলোচনা শেষে স্থানীয় ছড়া লেখক,কব্ িসাহিত্যিকগনের প্রকাশিত ১৫টি বইয়ের মোড়ক উমে¥াচন করা হয়। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধউপস্থাপনা করেন কবি আমিনুল ইসলাম সেলিম। দ্বিতীয় পর্বে বিকালে আলোচনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক
প্রাণেশ কুমার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম.এ. আফজল এডভোকেট কবি ও লেখক অধ্যক্ষ গোলসান আরা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক সমরেশ রায় এডভোকেট প্রমুখ। এ.কে এম মোজাম্মেল হক গোলাপ ও মোঃ রওশন আলী রুশোকে সাহিত্যে সুকুমার রায় সাহিত্যপদক ও সম্মাননা প্রধান করা হয়। তৃতীয় পর্বে আমন্ত্্িরত, স্থানীয় কবি ও ছড়া লেখকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে কবি ও ছড়ালেখক আবদুস ছাত্তার ভূঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও লেখক হুমায়ুন আহমেদ কবির ভূঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও ছড়ালেখক মেরাজ রাহীম ও আহমেদ জসিম। সর্বশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা ৭টায় সংগীতানুষ্ঠান ও রাত ৮টায় মিথিলা অডিও ভিশনের পরিবেশনায় বিচিত্রানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ৮মার্চ ২০১৫ তৃতীয় দিন ১ম পর্বে সভাপতিত্ব করেন লেখক ও গবেষক মু.আ.লতিফ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও ছড়ালেখক ফারুক নওয়াজ। বিষেশ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল মহাাবিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ সিদ্দিক উল্লাহ,ছড়াকার আহমেদ জসিম, কবি মানস বিশ্বাস,
বিশিষ্ট সমাজসেবক এড.ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, আসলাম সানী, দ্বীপ মুখপাধ্যায় , আনসার-উল-হক,সাহাবুদ্দিন আহমেদ,শফিক সিংহী প্রমুখ। তৃতীয় পর্বে বিশিষ্ট চিএশিল্পী ও লেখক এম.এ কাইয়ম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আলি ইমাম । বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার লুনা, খুঁটি সম্পাদক এস.এম জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠ্নে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি সম্পাদক বিজন কান্তি বনিক। পরে অনুষ্ঠানে রফিকুল হক দাদু ভাই, আসলাম সানী, দ্বীপ মুখপাধ্যায় ও আনসার-উল-হককে সম্মাননা প্রধান করা হয়। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট বিতরন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। সংস্কৃতিক পর্বে মানস করের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন একতা নাট্যগোষ্ঠী।
কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব একযুগ পূর্তি সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে। আগামীতে এ উৎসবটি আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপান্তরিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ছড়া উৎসবে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের ছড়াকার-কবি-সাহিত্যিকবৃন্দ। বর্র্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩র্মাচ২০১৬ বৃহস্পতিবার শুরু হয় তিন দিনব্যাপী যুগপূর্তি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজ মেলা । শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে সকাল সাড়ে দশটায় প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করে ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাই। এর পূর্বে একটি র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে সমবায় ভবনে এসে উদ্বোধনী সমাবেশে মিলিত হয়। এরপর বৃন্দ ছড়া আবৃত্তি পরিবেশন করে সুবর্ণ কনরথে শিশুশিল্পীবৃন্দ।উদ্বোধনী আলোচনা সভা সকাল সাড়ে দশটায় ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের
আহ্বায়ক ও দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে এসময় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার আসলাম সানী, সুজন বড়য়া,– ড. রাসবিহারী দত্ত, আনসার উল হক, ড. সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, ইভা চক্রবর্তী, শিলা বিশ্বাস, ড. অরুময় বন্দোপাধ্যায় ও বাচিকশিল্পী স্বাতী বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম।দ্বিতীয় পর্বে নির্ধারিত আলোচনানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবু খালেদ পাঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. সিদ্দিক উল্লাহ্। প্রধান আলোচক ছিলেন ছড়াকার স্বপন ধর। বিশেষ অতিথি হিসেবে এ পর্বে উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার আনজীর লিটন, হাসনাত আমজাদ, এম. আর. মঞ্জু, মিলন সব্যসাচী, মহিবুর রহিম প্রমুখ।তৃতীয় পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি কবি-ছড়াকার-লেখকদের স্বরচিত লেখা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মীর মো. রেজাউল করিম। প্রধান অতিথি হিসেবে এসময় উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার আসলাম সানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. রাসবিহারী দত্ত ও আনসার উল হক।
তৃতীয় পর্বের শেষে ম. ম. জুয়েল, বাসিরুল আমিন ও হুমায়ুন কবিরের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ‘মৃত্তিকা ও মানুষ’ শীর্ষক আবৃত্তি সন্ধ্যা পরিবেশন করে চন্দ্রাবর্তী আবৃত্তি পরিষদ। এরপর মিজানুর রহমান মিজানের পরিচালনায় ছিলো সুররং একাডেমির পরিবেশিত সঙ্গীতানুষ্ঠান। সবশেষে ছিলো মিথিলা অডিও ভিশনের শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা।যুগপূর্তি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিলো ৪মার্চ২০১৬ শুক্রবার। শহরের খরমপট্টিতে সমবায় কমিউনিটি
সেন্টারে উৎসব উপলক্ষে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কবি ও ছড়াকারদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ‘সাহিত্যের সুবাতাস বয়ে যাক ধরায়, সাম্যের বাণী শুনি ছন্দ ও ছড়ায়’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী যুগপূর্তি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজ মেলা। প্রাণের এ উৎসবে যোগ দিতে সুদূর কলকাতথেকে ছুটে এসেছেন সাতজন ছড়াকার কবি ও সাহিত্যিক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথিতযশা ছড়াকাররাও এতে অংশ নিয়েছেন। সকলের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এ উৎসব। দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে শিশু-কিশোরদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও সংগঠক আসলাম সানী, এসভি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ কবির ও কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক। পরে স্থানীয় ছড়ালেখক ও কবি সাহিত্যিকগণের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক প্রাণেশ কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান অ্যাডভোকেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম.এ. আফজল, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক,
সাহিত্যিক আজিজুল হক এরশাদ, লুৎফুল হক প্রমুখ। আলোচনা শেষে যুগপূর্তি ছড়া উৎসব ও লোকজ মেলায় ১২ জনকে সুকুমার রায় সাহিত্য পদক ও সম্মাননা প্রদান করাহয়। যাদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সুধেন্দু বিশ্বাস, সংগীতে মৃণাল কান্তি দত্ত, সমাজসেবায় আবু খালেদ পাঠান, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী বিজন কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা.
সাহেব আলী পাঠান, সাহিত্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোহাম্মদ আশরাফ, শিক্ষায় অধ্যক্ষ
গোলসান আরা, ক্রীড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাশির উদ্দিন ফারুকী, সমাজসেবায় অ্যাডভোকেট সমরেশ রায়, সাহিত্যিক মতিউর রহমান ও ছড়াকার শাহজাহান কবীর।
সম্মাননা শেষে পদকপ্রাপ্তরা নিজ নিজ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। সন্ধ্যায় সংগীতানুষ্ঠান, গীতিনাট্য সুনাই মাধব ও মিথিলা অডিও ভিশনের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।৫মার্চ২০১৬ শনিবার রাতে জেলা সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে চিত্রশিল্পী এম.এ. কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহীত উল আলম। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রফিকুল হক দাদুভাই, ভারতের কবি ও ছড়াকার ড. রাসবিহারী দত্ত,
আনসার উল হক, ড. সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, ইভা চক্রবর্তী, ড. অরুময় বন্দোপাধ্যায়, স্বাতী বন্দোপাধ্যায় ও শৈলেন্দ্র হালদার। বক্তারা সকলেই কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব জাতীয় ছড়া উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। কারণ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথিতযশা ছড়াকাররাও এতে অংশ নিয়েছেন। সকলের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেছে এ ছড়া উৎসব। এখানে দ’ুদেশের কবি-সাহিত্যিক ও ছড়াকারদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী উৎসবে ছড়াপাঠ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দিয়ে সাজানোছিল। এছাড়াও উৎসবে আসা ভারতীয় অতিথিদেরকে সম্মানসনা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহীত উল আলম। ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক আহমেদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব আবুল কাশেম জানান, লোকজ মেলায় কিশোরগঞ্জের ছড়া সাহিত্যের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা শেষে কবি কফিল আহমেদের পরিবেশনায়ছিলো সংগীতানুষ্ঠান। সবশেষে সাংস্কৃতিকনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি টানা হয় তনি দিন ব্যাপী উৎসবের।‘ছড়ায় ছড়ায় গড়বো দেশ/সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ’ এই সোগনে ৩ দিনব্যাপী ১৩তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজমেলা শুরু হয় ৩ র্মাচ বৃহস্পতিবার ২০১৭ ইং তারিখে। সকালে এক বণাঢ্য র্যালি কিশোরগঞ্জ শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে সুসজ্জিত মঞ্চে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রফিকুল হক দাদু ভাই। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন। উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক আহবায়ক আহমেদ উলাহ। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন এডিসি(সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামিল,বিশিষ্ট ছড়াকার আসলাম সানী,বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজীর লিটন,শিশু সাহিত্যিক মিলন সব্যসাচী ,আরিফ নজরুল,প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী, আবুখালেদ পাঠান,ছড়াকার ফারুক নওয়াজ,আহমেদ জসিম,স্বপনধর,কবি মুহিবুর রহিম অধ্য গোলসান আরা বেগম, অধ্যাপক আবুল কাশেম,চিত্রশল্পী এম এ কাইয়ুম,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইকবালসহ অন্যরা।বিকালে স্থানীয় লেখকদের প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করা হয়। সন্ধায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।৪মার্চ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় সভপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্য প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক রফিকুল হক দাদু ভাই।বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ আফজল,ছড়াকার আসলাম সানী,কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নুরুল হক,কোহিনুর আফজল। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন অধ্য এ,কে,এম মোজাম্মেল হক গোলাপ। প্রধান অতিথি ছিলেন বানিমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি মোঃ আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউট এর নির্ববাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক। বক্তৃতা করেন ছড়াকার রহিম শাহ,শ,ম শামছুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর জাহাঙ্গির আলম,এডভোকেট দোলন ভৌমিক। সন্ধায় সাদেক আহমেদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক প্রাণেশ কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক রাশেদ রউফ,কবি মানস বিশ্বাস। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৪মার্চ শনিবার তৃতীয় দিন প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চিত্রশিল্পী এম এ কাইয়ুম। প্রধান অতিথি ছিলেন রফিকুল হক দাদু ভাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ আজিজুল হক, শাহানারা রশিদ ঝরণা ও আশরাফুল মান্নান। বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী ও কবি মীর মুহাম্মদ রেজাউল করিম,ইকবাল বাবুল ও কবি জয়দুল হোসেন। আলোচনা শেষে প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চেীধুরী,আহমেদ উলাহ ও জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নাকে সুকুমার রায় সাহিত্ব পদক প্রদান করা হয়।
প্রথম ছড়া উৎসব থেকে ১২ তম ছড়া উৎসব পর্যন্ত যে সকল গুণিজজনদের সুকুমার রায় সাহিত্য পদক ও সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন কবি মহিউদ্দিন চৌধুরী, কবি শফিক আলম মেহেদী, গীতিকার মোহাম্মদ ফিরোজ, ছড়াকার আবিদ আনোয়ার, সাহিত্য গবেষক সৈয়দ শওকত আলী, কবি আব্দুল হান্নান, কবি আশুতোষ ভৌমিক, ছড়াকার সিরাজুল ফারিদ, সাহিত্য গবেষক মোহাম্মদ বাকের, কথা সহিত্যিক জুনাইদুল হক, নাট্যকার গোলাম শফিক, কবি মনজুরূ রহমান, ছড়াকার দেলোয়ার বিন রাশিদ, কবি ফারুক আহমেদ, কবি ও প্রাবন্ধিক বেগম রাজিয়া হোসাইন, কবি অজামিল বণিক, ছড়াকার নবী হোসেন, ছড়াকার সুবীর বসাক, কবি
অ্যাডভোকেট জেসমিন আরা রোজি, কবি এ. এফ. আকরাম হোসেন, কবি ম. মাহফুজুর রহমান, চিত্রশিল্পী ও প্রাবন্ধিক এম এ কাইয়ুম, মো. আতিকুল্লাহ ঢালি, প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, মীর মো. রেজাউল করিম, মু. আ. লতিফ, মো. আব্দুছ ছাত্তার ভূঞা,মো. আবুল কাশেম, শাহ আজিজুল হক, মেরাজ রাহীম, হুমায়ুন আহমেদ কবীর ভূঞা, বিজন কান্তি বণিক,এ কে এম মোজাম্মেল হক গোলাপ,মো. রওশন আলী রুমো প্রমুখ।
পূর্ব থেকে যে অঞ্চলের মানুষের ধমনীতে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমেরক্ত রপ্রবাহমান তাদেরকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করতে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রথম ছড়া উৎসব থেকে দশম ছড়া উৎসব পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কবি, ছড়াকার, গীতিকার, শিল্পী, প্রাবন্ধিক নাট্যকার, উপন্যাসিক, সংস্কৃতি কর্মী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকসহ গুণীজন ও সাহিত্যামোদীদের আগমন ও
অংশ গ্রহণে প্রাণিত হয়েছে কিশোরগঞ্জবাসী। ক্রমাগত উৎসবের ব্যাপকতা ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমী গুণীজনদের আগমন ও অংশগ্রহণে উৎসবের সৌন্দর্য ও সাফল্য প্রতিবারই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবারই ছড়া উৎসব উপলক্ষ্যে এ অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়া লিখন ও ছড়া পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও তাদেরকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদানের ফলে তাদের মেধাবিকাশ ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে কিশোরগঞ্জের ছড়া উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। উৎসবে আগত গুণীজনদের জ্ঞানগর্ব আলোচনা ও তাদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের স্থানীয় কবি সাহিত্যিকদের কবিতা ও ছড়া পাঠ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা- এক উদ্দীপনাময় মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাঙালী জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য যখন
ক্রমশই বিলুপ্তির পথে, নগর সভ্যতার এই সময়ে আজকের প্রজন্ম যখন স্বদেশীয় কৃষ্টি কালচার ভুলে পশ্চিমা কৃষ্টি কালচারে গাঁ ভাসিয়ে ক্রমাগতই মুড়ি, মোয়া, খইয়ের কথা ভুলে বার্গার, পিজা, স্যা-োইচ খেতে অভ্যস্ত এ ক্রান্তিকালে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবে লোকজ মেলার
আয়োজন লোকজ ঐতিহ্য চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নানান ধরণের মিষ্টান্ন, শিশুদের খেলার রকমারি জিনিস, বিভিন্ন তৈজসপত্র, হস্ত ও কারুশিল্পের পণ্যসহ নানাধরনের ভোগ্যপণ্য ও খাদ্যপন্যের দোকান বসে থাকে মেলা চত্বর ও তার আশপাশে। প্রতিবারই স্থানীয় লেখকদের বই
এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ উৎসবে। এসকল বই বিপণন ও প্রদর্শনের জন্য বই বিক্রির
ষ্টলের ব্যবস্থা থাকে। সর্বোপরি কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও লোকজমেলা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের উৎসবে রূপ নিয়েছে।
রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭
poem
Dear son
Sadek Ahmed
...........................
Mom says read my son
Dad says give the mind,
due to pressure of reading
son Tires to sit.
Sadek Ahmed
...........................
Mom says read my son
Dad says give the mind,
due to pressure of reading
son Tires to sit.
Before breaking up sleep of son
mother says get you ,
dad says time is gone away
run for coaching.
son goes for Coaching
Eating some breakfast,
Hurriedly gone to school
mother.runs back to his.
after returning home from school
son runs to Coaching,
Does he gets little time
to Playing that time?
mother says get you ,
dad says time is gone away
run for coaching.
son goes for Coaching
Eating some breakfast,
Hurriedly gone to school
mother.runs back to his.
after returning home from school
son runs to Coaching,
Does he gets little time
to Playing that time?
শনিবার, ৮ জুলাই, ২০১৭
poem
Transaction
Sadek Ahmed
................
Losing all the transactions in life
The picture of the memorial album talked
Memories of that happiness in the past
When I am from four sides
Like octopus
I lost-
One of the ocean in the ocean of pain
Sadek Ahmed
................
Losing all the transactions in life
The picture of the memorial album talked
Memories of that happiness in the past
When I am from four sides
Like octopus
I lost-
One of the ocean in the ocean of pain
শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭
poem
My love
Sadek Ahmed
As you are my love-
The dreams you have shown
Holds the chest deep
In bed and sleep
My destiny is everywhere
I grew up.
As you love-
Trail on the way you were shown
High-low way
Contagious hostile environment
Frustation squz Around me
like octopus,
Your motivation
Make me brave
Call on the path to success.
As I love you -
I pass whol night witout sleeping
Decorate the mind Our dream.
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭
poem
what was in mind
Sadek Ahmed
What not you give me
you gave me faith,love
and motivation to survive
I have a dream.
I have never give you
False assurance of wealth
Huge building, expensive car
Diamond ring, gold crown
a bed-sofa wrapping with gold
Expensive dress, expensive jewelry
Or giving more than that
Mistake false promises.
বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭
যুগে যুগে প্রেম
সাদেক আহমেদ
নারী-পুরুষষের গভীর আস্থা, পারষ্পরিক নির্ভশীলতা ও প্রচন্ড আবেগের সুতোয় বাঁধা যে সম্পর্ক তারই নাম প্রেম। বাংলাভাষায় এর প্রতি শব্দ ভালোবাসা। বাংলাভাষাবাসি যারা তারা ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলে একে অপরকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। পান্তরে ইংরেজি ভাষাবাসি যারা তারা ‘আই লাভ ইউ’ বলে ভালোবাসার কথা জানায়। হিন্দি ভাষাবাসি যারা তারা ‘মুজে তুমসে পিয়ার কারতিহু’ বলে ভালোবাসার কথা জানায়। বাংলা, ইংরেজি, আরবি,উর্দু হিন্দি ফার্সি নাগরি যে যে ভাষায়ই তার ভালোবাষার কথা জানাক না কেন তার জন্ম মানুষের মস্তিষ্কে। চোখ দিয়ে দেখে ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করে মানুষের মগজে তৈরি হয় এর মূল রসায়ন। বয়স বিবেচনায় মানুষের দৈহিক কর্মকা-ে বা সারিরিক কাঠামোতে রদবদল দেখা গেলেও ভালোবাসায় কখনো জোয়ার-ভাটা দেখা যায় না। ছুট্ট একটি শিশুও কাঁদতে জানে-হাসতে জানে। মায়ের আদর সোহাগে আমরা তাকে হাসতে দেখি। একটুখানি কষ্ট পেলে আমরা তাকে কাঁদতে দেখি। তাই প্রেমের কোন বয়স নেই নর-নারী শিশু, যুবক, বৃদ্ধ যে বয়সেরই হোক না কেন তার উর্বর মস্তিষ্কে প্রেমের ফসল চাষ হওয়াটাই স্বাভাবিক। বয়স, পারষ্পরিক সম্পর্ক ও সামাজিক-ভৌগোলিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে এর প্রকাশধরন ও স্বরূপ ভিন্নতর হতে পারে। প্রেমের নির্দিষ্ট কোন সজ্ঞা নেই। যুগে যুগে কবি সাহিত্যিক ও দার্শনিকগন এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্নভাবে। কেউ বলেছেন ‘দুজন নির্বোধ মানুষের নিরর্থক কাজ হচ্ছে প্রেম’।পন্ডিত রুজম বলেন,বিরহের ুেবদনাই প্রেম।টলস্টয় বলেন,প্রেমবিবাহকে পবিত্র করে আর বিবাহ প্রেমকে পবিত্র করে। এক দিন প্লেটু তার শিক্ষককে জিজ্ঞেস করে ছিলো-প্রেম কি? তিনি বলেন ঐ যে মাঠে গমের ফসল দেখতে পাচ্ছ তার মধ্য দিয়ে হেটে যাও গমের যে শিষটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালোলাগবে সেটি আমার কাছে নিয়ি এসো, কখনো পেছনে ফিরবে না, পেছনে ফেলে আসা গমের শিষ হাতে নেবে না। কথামতে প্লেটু একটি গমের শিষ এনে দিলেন শিক্ষক বললেন কি দেখতে পেয়েছ? প্লেটু জানান আমি যখন শষ্যের মাঠ দিয়ে সামনে এগুচিছলাম তখন যে গমের শিষটি চোখে পড়েছিলো সেটি আমার ভালোলেগেছিলো তবে মনে হয়েছিলো আর একটু সামনে এগয়ে দেখি। এভাবে সবশেষে যে গমের শিষটি আমি দেখতে পেলাম তা দেখে মনে হয়েছিলো আগেরটিই হয়তো এর চেয়ে ভালো ছিলো। শিক্ষক বললেন এটাই প্রেম।মহাকবি কালিদাস-মানদিপা, লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ, রোমিও- জুলিয়েট, বেহুল-লক্কিন্দর, রাম-সীতা, রাধা-কৃষ্ণ, রজকীনি-চন্ডি দাস, উইলিয়াম সিজার-কিউপেট্টা ও ইউসুফ-জুলেকা জয়ানন্দ-চন্দ্রাবতী এই পবিত্র মন্ত্রে দিা নিয়েই আজও অমর হয়ে আছেন। সম্রাট শাহজান তাদেরই একজন উত্তরসুরি যিনি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালোবাসার স্মৃতির মিনার সাজিয় ছিলেন যমুনা নদীর তীরে আগ্রাবাদে র্স্বণখচিত সুরম্য প্রাসাদ তাজমহল নির্মাণ করে। জগতে এমন অসংখ্য সৃ্িষ্ট অকৃত্তিম ভালোবাসার নিদর্শন হয়ে টিকে আছে পৃথিবীর ইতিহাসে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সকল মানুষের কাছে তারা কিংবদন্তির রূপকার। তাদের নিয়ে আজও কবি লিখেন কবিতা,নাট্যকার লিখেন নাটক। সময় বদলায় পারিপার্শিক অবস্থার পরিবর্তন হয় ভালোবাসার স্বরূপ বদলায় না কোন কালেও। এ যেন সর্বকালে সর্বজনের কাছে স্বরূপেই আবির্ভূত হয়। আজকে হয়তো কৃষ্ণের বাশীর সুরে রাধা পাগল হয়ে বকুল তলে ছুটে আসে না, অশ্বারোহী রাজকুমার তার প্রেমিকাকে পাবার উম্মাদনায় যুদ্ধে লিপ্ত হয় না, সুন্দরী নারীর প্রেমে পাগল হয়ে রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে কোন দেশ কোন জনবসতি বা কোন সভ্যতা ধ্বংস করে না। যেভাবে হেলেনের প্রেমের অনলে পুড়ে ধ্বংস হয়েছিলো ট্রয় নগরী। উইলিয়াম সিজার-কিউপেট্টার প্রেমের মর্মন্তুদ পরিনতীতে ধ্বংস হয়েছিলো আলেকজান্দ্রিয়া।ধুঁয়া,টাকা ও প্রেম এই তিন বিষয় কখনো গোপন থাকে না।যদিও প্রেমে পক্ষ দুটি তবুও প্রথমে ঘনিষ্ঠজন পরে বন্ধু-বান্ধব,তারপর আত্মিয়স্বতজন ও পরে পাড়া-প্রতিবেশি বিষয়টি জেনে যায়।কখনো কখনো শুরু হয় নতুন বিপত্তি।সুদুর অতীত থেকে অদ্যবধিই এমন বিপত্তির শিকার হয়ে পরিবার থেকে বিতারিত হয়েছে, সমাজ থেকে বিতারিত হয়েছে এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে।যিশুখীষ্টের জন্মের বহু আগে মহাকবি কালি দাসের জগৎ বিখ্যাত সৃষ্টি মেঘদুৎ প্রেমের এমনই এক বেদনাবিদুর পরিনতির ফসল। মহা কবি কালিদাস ও তার প্রিয়তমা মান্দিপার প্রেমের খবর প্রকাশের পর কালিদাসকে তার জনপদ থেকে এক নির্জন দ্বীপে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে ছিলো।একাকী জীবনের কষ্ট আর প্রিয়তমার অনুপস্থিতিজতনিত হৃদয়ের ব্যকুলতা এমনি মূহুর্তে আকাশে ভাসমাণ মেঘমালার দিকে তাকিয়ে তিনি মনের যে আকোতি প্রকাশ করতেন তাই ‘মেঘদুৎ’ কাব্যগ্রন্থের কাব্য পংক্তি ।তবে এ যুগেও মানুষ প্রেম করে । প্রেমিক মন মানে না কোন শাসন বারণ। তবে এ যুগে প্রেমের ধরন বদলে গেছে। এখন প্রেম হয় মোবাইল ফোনে। কথা হয় শেষ রাতে সংগুপনে। মিলন হয় কলেজ হোষ্টেলে,ছাত্রাবাসে, রেষ্টুরেন্টে পার্ক কিংবা সিনামাহলে। দামী উপহার, দামী খাবার, মোটা অংকের টাকা বা বিশেষ কোন সুবিধা আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ যুগের রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের ইতিহাস। একটা বিশ্বাস যা হৃদয়ে ধারন করবে,একটা স্বপ্ন যার আলোতে সারাটা জীবন পথ চলবে এমনটি বিনিময় করে এ যুগের রাধা–-কৃষ্ণ এদের সংখ্যা অতিব নগন্য। যে প্রেমের সার্থক পরিনতি আছে তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভিন্ন পরিবারে, ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠা দুটি মানুষের এক নতুন জীবনের পথে একই সাথে পথচলা। এ জীবনে অভিন্ন কোন স্বপ্ন নেই,অভিন্ন কোন চাওয়া নেই, অভিন্ন কোন স্বার্থ নেই। স্বর্গের সুখ মর্তের শান্তি দুজনেরই সমান সমান। প্রেমের ব্যর্থ পরিনতির মধ্য দিয়ে মৃত্যু ঘটে একটি স্বপ্নের। মানুষের মৃত্যুর শোক সয়ে নেয়া যায় ভুলে থাকা যায় কিন্তু কোন স্বপ্নের যখন মৃত্যু ঘটে এ শোক ভুলে থাকা যায় না, সারাটাজীবন এ মর্মন্তুদ ব্যদনার বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। কখনোবা এর মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় চির অচেনা অন্য এক মানুষের। তখন কোন একজনের প্রিয় সঙ্গীত হয়-‘ভালোবাসা মোরে করেছে ভিখারি তোমকে করেছে রাণী’। বদলে যাওয়া এ মানুষগুলোর করুণ পরিনতির জন্য দায়ি কে? বাল্যপ্রেমের এমন পরিনতি আজকের সমাজে কোন বিরল ঘটনা নয়। কারণ যে সম্পর্কের ভিত্তি কেবলই যৌনতা ও বস্তুুগত সার্থ সে সম্পর্ক বেশি দুর এগুতে পারে না। তবে বাল্যপ্রেম যদি বস্তুগত স্বার্থে উর্ধ্বে থেকে বিশ্বাসের আলোতে পথ চলে সফল পরিনতিতে যায় তখন শুরু হয় দাম্পত্য প্রেম, যেখানে কে আগে দেবে কে পরে দেবে, কে কম পেলো কে বেশি পেলো বস্তুগত বিষয়ে এমন প্রশ্ন ওঠে না। দুজনের বিশ্বাস রক্তকনায় মিশে গিয়ে যেন একাকার হয়ে যায় ভিন্ন আত্মা অভিন্ন বিশ্বাসে অভিন্ন কামনায় শুরু হয় মধুর জীবন যে জীবনে ঐর্শযের অভাব থাকলেও সুখের অভাব হয় না। যদি বিশ্বাসের কমতি থাকে লালসার লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয় তবে শুরু হয় পরকীয়াপ্রেম শুরু হয় নদীর এক তীর ভেঙ্গে আরেক তীর গড়বার অবৈধ প্রেম লিলা যা কেবল ব্যক্তিজীবনকে অশানিÍর আগুনে পোড়িয়ে মারে না বরং গোটা সমাজকে কলঙ্কৃত করে। প্রেম চিরন্তন প্রেম সার্বজনীন জলবায়ু ও ভৌগলিক অবস্থার পার্থক্যের কারণে এর প্রকাশ ও ধরন বৈচিত্রময়। আমাদের এই ভূখ-ে ভিনদেশীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনর ফলে মানুষের জীবন যাপনে যেমন পশ্চিমা ভাবধারার ছোঁয়া ল্য করা যায়, তেমনি ভালোবাসা নামের পবিত্র সম্পর্কের অন্তরালে এক শ্রেণীর অসৎ মানুষের অনৈতিক কর্মকান্ড যা কেবল যৌনতা ও বস্তুগত লোভ লালসার কারণ, যার ফলে সমাজে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবাধ যৌনতা, বিবাহবিচেছদ, পরকিয়া প্রেম, তরুণ সমাজে মাদকের ভয়াবহ আসক্তি পারিবারিক কলহ, বিবাহবিচেছদ, সামাজিক অস্থিরতা মূল্যবোধের অবয় এর ক্ষতিকর প্রভাবে ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে।
সাদেক আহমেদ
নারী-পুরুষষের গভীর আস্থা, পারষ্পরিক নির্ভশীলতা ও প্রচন্ড আবেগের সুতোয় বাঁধা যে সম্পর্ক তারই নাম প্রেম। বাংলাভাষায় এর প্রতি শব্দ ভালোবাসা। বাংলাভাষাবাসি যারা তারা ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলে একে অপরকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। পান্তরে ইংরেজি ভাষাবাসি যারা তারা ‘আই লাভ ইউ’ বলে ভালোবাসার কথা জানায়। হিন্দি ভাষাবাসি যারা তারা ‘মুজে তুমসে পিয়ার কারতিহু’ বলে ভালোবাসার কথা জানায়। বাংলা, ইংরেজি, আরবি,উর্দু হিন্দি ফার্সি নাগরি যে যে ভাষায়ই তার ভালোবাষার কথা জানাক না কেন তার জন্ম মানুষের মস্তিষ্কে। চোখ দিয়ে দেখে ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করে মানুষের মগজে তৈরি হয় এর মূল রসায়ন। বয়স বিবেচনায় মানুষের দৈহিক কর্মকা-ে বা সারিরিক কাঠামোতে রদবদল দেখা গেলেও ভালোবাসায় কখনো জোয়ার-ভাটা দেখা যায় না। ছুট্ট একটি শিশুও কাঁদতে জানে-হাসতে জানে। মায়ের আদর সোহাগে আমরা তাকে হাসতে দেখি। একটুখানি কষ্ট পেলে আমরা তাকে কাঁদতে দেখি। তাই প্রেমের কোন বয়স নেই নর-নারী শিশু, যুবক, বৃদ্ধ যে বয়সেরই হোক না কেন তার উর্বর মস্তিষ্কে প্রেমের ফসল চাষ হওয়াটাই স্বাভাবিক। বয়স, পারষ্পরিক সম্পর্ক ও সামাজিক-ভৌগোলিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে এর প্রকাশধরন ও স্বরূপ ভিন্নতর হতে পারে। প্রেমের নির্দিষ্ট কোন সজ্ঞা নেই। যুগে যুগে কবি সাহিত্যিক ও দার্শনিকগন এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্নভাবে। কেউ বলেছেন ‘দুজন নির্বোধ মানুষের নিরর্থক কাজ হচ্ছে প্রেম’।পন্ডিত রুজম বলেন,বিরহের ুেবদনাই প্রেম।টলস্টয় বলেন,প্রেমবিবাহকে পবিত্র করে আর বিবাহ প্রেমকে পবিত্র করে। এক দিন প্লেটু তার শিক্ষককে জিজ্ঞেস করে ছিলো-প্রেম কি? তিনি বলেন ঐ যে মাঠে গমের ফসল দেখতে পাচ্ছ তার মধ্য দিয়ে হেটে যাও গমের যে শিষটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালোলাগবে সেটি আমার কাছে নিয়ি এসো, কখনো পেছনে ফিরবে না, পেছনে ফেলে আসা গমের শিষ হাতে নেবে না। কথামতে প্লেটু একটি গমের শিষ এনে দিলেন শিক্ষক বললেন কি দেখতে পেয়েছ? প্লেটু জানান আমি যখন শষ্যের মাঠ দিয়ে সামনে এগুচিছলাম তখন যে গমের শিষটি চোখে পড়েছিলো সেটি আমার ভালোলেগেছিলো তবে মনে হয়েছিলো আর একটু সামনে এগয়ে দেখি। এভাবে সবশেষে যে গমের শিষটি আমি দেখতে পেলাম তা দেখে মনে হয়েছিলো আগেরটিই হয়তো এর চেয়ে ভালো ছিলো। শিক্ষক বললেন এটাই প্রেম।মহাকবি কালিদাস-মানদিপা, লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ, রোমিও- জুলিয়েট, বেহুল-লক্কিন্দর, রাম-সীতা, রাধা-কৃষ্ণ, রজকীনি-চন্ডি দাস, উইলিয়াম সিজার-কিউপেট্টা ও ইউসুফ-জুলেকা জয়ানন্দ-চন্দ্রাবতী এই পবিত্র মন্ত্রে দিা নিয়েই আজও অমর হয়ে আছেন। সম্রাট শাহজান তাদেরই একজন উত্তরসুরি যিনি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালোবাসার স্মৃতির মিনার সাজিয় ছিলেন যমুনা নদীর তীরে আগ্রাবাদে র্স্বণখচিত সুরম্য প্রাসাদ তাজমহল নির্মাণ করে। জগতে এমন অসংখ্য সৃ্িষ্ট অকৃত্তিম ভালোবাসার নিদর্শন হয়ে টিকে আছে পৃথিবীর ইতিহাসে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সকল মানুষের কাছে তারা কিংবদন্তির রূপকার। তাদের নিয়ে আজও কবি লিখেন কবিতা,নাট্যকার লিখেন নাটক। সময় বদলায় পারিপার্শিক অবস্থার পরিবর্তন হয় ভালোবাসার স্বরূপ বদলায় না কোন কালেও। এ যেন সর্বকালে সর্বজনের কাছে স্বরূপেই আবির্ভূত হয়। আজকে হয়তো কৃষ্ণের বাশীর সুরে রাধা পাগল হয়ে বকুল তলে ছুটে আসে না, অশ্বারোহী রাজকুমার তার প্রেমিকাকে পাবার উম্মাদনায় যুদ্ধে লিপ্ত হয় না, সুন্দরী নারীর প্রেমে পাগল হয়ে রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে কোন দেশ কোন জনবসতি বা কোন সভ্যতা ধ্বংস করে না। যেভাবে হেলেনের প্রেমের অনলে পুড়ে ধ্বংস হয়েছিলো ট্রয় নগরী। উইলিয়াম সিজার-কিউপেট্টার প্রেমের মর্মন্তুদ পরিনতীতে ধ্বংস হয়েছিলো আলেকজান্দ্রিয়া।ধুঁয়া,টাকা ও প্রেম এই তিন বিষয় কখনো গোপন থাকে না।যদিও প্রেমে পক্ষ দুটি তবুও প্রথমে ঘনিষ্ঠজন পরে বন্ধু-বান্ধব,তারপর আত্মিয়স্বতজন ও পরে পাড়া-প্রতিবেশি বিষয়টি জেনে যায়।কখনো কখনো শুরু হয় নতুন বিপত্তি।সুদুর অতীত থেকে অদ্যবধিই এমন বিপত্তির শিকার হয়ে পরিবার থেকে বিতারিত হয়েছে, সমাজ থেকে বিতারিত হয়েছে এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে।যিশুখীষ্টের জন্মের বহু আগে মহাকবি কালি দাসের জগৎ বিখ্যাত সৃষ্টি মেঘদুৎ প্রেমের এমনই এক বেদনাবিদুর পরিনতির ফসল। মহা কবি কালিদাস ও তার প্রিয়তমা মান্দিপার প্রেমের খবর প্রকাশের পর কালিদাসকে তার জনপদ থেকে এক নির্জন দ্বীপে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে ছিলো।একাকী জীবনের কষ্ট আর প্রিয়তমার অনুপস্থিতিজতনিত হৃদয়ের ব্যকুলতা এমনি মূহুর্তে আকাশে ভাসমাণ মেঘমালার দিকে তাকিয়ে তিনি মনের যে আকোতি প্রকাশ করতেন তাই ‘মেঘদুৎ’ কাব্যগ্রন্থের কাব্য পংক্তি ।তবে এ যুগেও মানুষ প্রেম করে । প্রেমিক মন মানে না কোন শাসন বারণ। তবে এ যুগে প্রেমের ধরন বদলে গেছে। এখন প্রেম হয় মোবাইল ফোনে। কথা হয় শেষ রাতে সংগুপনে। মিলন হয় কলেজ হোষ্টেলে,ছাত্রাবাসে, রেষ্টুরেন্টে পার্ক কিংবা সিনামাহলে। দামী উপহার, দামী খাবার, মোটা অংকের টাকা বা বিশেষ কোন সুবিধা আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ যুগের রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের ইতিহাস। একটা বিশ্বাস যা হৃদয়ে ধারন করবে,একটা স্বপ্ন যার আলোতে সারাটা জীবন পথ চলবে এমনটি বিনিময় করে এ যুগের রাধা–-কৃষ্ণ এদের সংখ্যা অতিব নগন্য। যে প্রেমের সার্থক পরিনতি আছে তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভিন্ন পরিবারে, ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠা দুটি মানুষের এক নতুন জীবনের পথে একই সাথে পথচলা। এ জীবনে অভিন্ন কোন স্বপ্ন নেই,অভিন্ন কোন চাওয়া নেই, অভিন্ন কোন স্বার্থ নেই। স্বর্গের সুখ মর্তের শান্তি দুজনেরই সমান সমান। প্রেমের ব্যর্থ পরিনতির মধ্য দিয়ে মৃত্যু ঘটে একটি স্বপ্নের। মানুষের মৃত্যুর শোক সয়ে নেয়া যায় ভুলে থাকা যায় কিন্তু কোন স্বপ্নের যখন মৃত্যু ঘটে এ শোক ভুলে থাকা যায় না, সারাটাজীবন এ মর্মন্তুদ ব্যদনার বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। কখনোবা এর মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় চির অচেনা অন্য এক মানুষের। তখন কোন একজনের প্রিয় সঙ্গীত হয়-‘ভালোবাসা মোরে করেছে ভিখারি তোমকে করেছে রাণী’। বদলে যাওয়া এ মানুষগুলোর করুণ পরিনতির জন্য দায়ি কে? বাল্যপ্রেমের এমন পরিনতি আজকের সমাজে কোন বিরল ঘটনা নয়। কারণ যে সম্পর্কের ভিত্তি কেবলই যৌনতা ও বস্তুুগত সার্থ সে সম্পর্ক বেশি দুর এগুতে পারে না। তবে বাল্যপ্রেম যদি বস্তুগত স্বার্থে উর্ধ্বে থেকে বিশ্বাসের আলোতে পথ চলে সফল পরিনতিতে যায় তখন শুরু হয় দাম্পত্য প্রেম, যেখানে কে আগে দেবে কে পরে দেবে, কে কম পেলো কে বেশি পেলো বস্তুগত বিষয়ে এমন প্রশ্ন ওঠে না। দুজনের বিশ্বাস রক্তকনায় মিশে গিয়ে যেন একাকার হয়ে যায় ভিন্ন আত্মা অভিন্ন বিশ্বাসে অভিন্ন কামনায় শুরু হয় মধুর জীবন যে জীবনে ঐর্শযের অভাব থাকলেও সুখের অভাব হয় না। যদি বিশ্বাসের কমতি থাকে লালসার লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয় তবে শুরু হয় পরকীয়াপ্রেম শুরু হয় নদীর এক তীর ভেঙ্গে আরেক তীর গড়বার অবৈধ প্রেম লিলা যা কেবল ব্যক্তিজীবনকে অশানিÍর আগুনে পোড়িয়ে মারে না বরং গোটা সমাজকে কলঙ্কৃত করে। প্রেম চিরন্তন প্রেম সার্বজনীন জলবায়ু ও ভৌগলিক অবস্থার পার্থক্যের কারণে এর প্রকাশ ও ধরন বৈচিত্রময়। আমাদের এই ভূখ-ে ভিনদেশীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনর ফলে মানুষের জীবন যাপনে যেমন পশ্চিমা ভাবধারার ছোঁয়া ল্য করা যায়, তেমনি ভালোবাসা নামের পবিত্র সম্পর্কের অন্তরালে এক শ্রেণীর অসৎ মানুষের অনৈতিক কর্মকান্ড যা কেবল যৌনতা ও বস্তুগত লোভ লালসার কারণ, যার ফলে সমাজে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবাধ যৌনতা, বিবাহবিচেছদ, পরকিয়া প্রেম, তরুণ সমাজে মাদকের ভয়াবহ আসক্তি পারিবারিক কলহ, বিবাহবিচেছদ, সামাজিক অস্থিরতা মূল্যবোধের অবয় এর ক্ষতিকর প্রভাবে ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭
Mechanical
Sadek Ahmed
................
It is difficult to walk to the street
Strong traffic jams,
now Rickshaw pullers run auto
he does not sweat.
Reckless bike driver
Horoscope is growing,
There is no registration
Who takes his treasure?
In Hats and bazars
Cars are not less,
The man is in pain
for Badbdi and Tomato
Sadek Ahmed
................
It is difficult to walk to the street
Strong traffic jams,
now Rickshaw pullers run auto
he does not sweat.
Reckless bike driver
Horoscope is growing,
There is no registration
Who takes his treasure?
In Hats and bazars
Cars are not less,
The man is in pain
for Badbdi and Tomato
poem
Alone
Sadek Ahmed
.................
Looking at the sky
you have counted the wait
In the dark you spend
Difficult time.
Suddenly a rainy rain comes
the whole body and soak the whole body
The unstable mind is tired
body get peace and Sleep has come.
it is Stir is gusting wind
Cyclones, cyclones, and so on
Hourly lightning is a terrible word
The horrors of death are as follows
Look at the eyes
There is no one next to you
you are alone.
রবিবার, ২ জুলাই, ২০১৭
poem
Chili-panto
Sadek Ahmed
...............
The first morning
of the month of bangoli new year
Guinness are busy with dressing
there were fair sitting that.
Some one eat sweet
Somebody plays bamboo flut
Some one is eating the Chili-panto
Happy to eat.
Chili-panto with Hilsha
First day meal in that day
Hilsha's price is touching the sky
So every one does not afford it.
There are some people who are not
getting rice in three times
It is impossible for them
to eat Chili-panto.
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)